রূপের রানী বলা হয় বান্দরবানকে
পাহাড়ে ঘেরা মনোমুগ্ধকর নানান দৃশ্যপটে আপনার দু'চোখ ক্ষণে ক্ষণেই আটকে যাবে । হৃদয় দোলানো রূপের মাদকতায় আপনি বিভোর হয়ে যাবেন নিশ্চিত । বান্দরবানকে অনেকেই তাই রূপের রাণী বলে থাকেন । আজ আমরা আপনাদেরকে বান্দরবান যাবার কিছু রুট প্লান দেব । যা অনেকেরই উপকারে আসবে । ঢাকা থেকে বান্দরবান যেতে ২/৩ টি রুট ব্যবহার করা যায় ।
রুট - ১ :
ঢাকা থেকে ট্রেনে বা বাসে প্রথমে চট্টগ্রাম তারপর চট্টগ্রাম থেকে সোজা বান্দরবান চলে যান সহজেই। চট্টগ্রাম থেকে নন এসি অনেক বাসই যায় বান্দরবানে । এসি বাসে যেতে চাইলে ঢাকা থেকে বান্দরবান সরাসরি চলে যাওয়াই ভালো হবে ।
রুট - ২ :
ঢাকা থেকে বান্দরবান পযর্ন্ত ডাইরেক্ট একটি গাড়ী চলে এস.আলম (নন এসি)। ছাড়ে এস.আলমের কমলাপুর রেল ষ্টেশনের বিপরীত কাউন্টার থেকে । তাছাড়া অন্যান্য গাড়ি বান্দরবানে যায় যেমন শ্যামলী, হানিফ ইত্যাদি ।
রুট - ৩ :
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে => ট্রেনে: চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান => বহদ্দারহাট টার্মিনাল থেকে পূরবী এবং পূর্বাণী নামক দুটি ডাইরেক্ট নন এসি বাস আছে ৩০ মিঃ পর পর বান্দরবানের উদ্দ্যেশে ছেড়ে যায়। ।
কি কি দেখবেন?
বান্দরবান জেলা সদর থেকে ৪৭ কি:মি: দক্ষিণ পূর্বদিকে লামা উপজেলার অংশে সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ২২০০ ফুট উপরে বাংলাদেশের নতুন পর্যটন কেন্দ্র নীলগিরির অবস্থান। যাকে বাংলাদেশের দার্জিলিং হিসাবে অবহিত করা যায়। যেখানে পাহাড় আর মেঘের মিতালী চলে দিনরাত। আপনিও ঘুরে আসতে পারেন ঐ মেঘের দেশে। তবে যারা মেঘ ভালোবাসেন তারা জুন-জুলাইতে অর্থাৎ বর্ষাকালে ভ্রমণে গেলে বেশী মজা পাবেন। কারন মেঘ তখন আপনা হতে এসে আপনাকে ধরা দিয়ে যাবে।নীলগিরি যাওয়া হোটেল বুকিং ও অন্যান্য: নীলগিরি সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত একটি পর্যটন স্পট। বর্তমানে নীলগিরির কটেজ গুলো এপ্রিলের ১৫ তারিখ পর্যন্ত সব বুকড করা আছে। আপনি ইচ্ছে করলে এর পরের জন্য বুকড করতে পারবেন। ভি.আই.পি নাম্বার-০১৯২৫৮৮২৩৩৮ শুধু মাত্র সেনাবাহিনী অফিসার ও উচ্চ পদস্থ সরকারী কমকর্তার জন্য।
সাধারন পর্যটকের জন্য বুকিং ব্যবস্থা এখানে:- পেট্রো এভিয়েশন ৬৯/২, লেভেল-৪,রোড-৭/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা। ফোন:-মনতোষ মজুমদার-০১৭৩০০৪৩৬০৩ এবং হাসান সাহেদ-০১৭৩০০৪৩৬০৩।
কটেজ ভাড়া: গিরি মারমেট: ৭৫০০ টাকা। (৮/১০ জন থাকতে পারবে)। মেঘদূত: ৬৫০০ টাকা। (৮/১০ জন থাকতে পারবে)। নীলাঙ্গনা: ৫৫০০ টাকা। (৪/৬ জন থাকতে পারবে ২ রুমে) এটি ছবির বাশের কটেজটি। নীলাঙ্গনায় কাপলের জন্য এক রুম ভাড়া নেওয়া যায় যাহা ৫৫০০টাকার অর্ধেকে ২৭৫০টাকায়।
এখানে খাবার ব্রেকফাষ্ট+লান্স+ডিনার মিলে খরচ হবে দিনে ৫০০ টাকা জনপ্রতি। এবং এটি অবশ্যই কটেজ বুকিং দেওয়ার সাথে খাবার বুকিংও দিতে হবে অন্যথায় কটেজে থাকতে হবে না খেয়েই।
কি ভাবে যাবেন:
নীলগিরি যেতে হলে আগে থেকে ল্যান্ড ক্রুজার জিপ ভাড়া করতে হবে। সময় লাগবে আসা-যাওয়ায় ৪ ঘঃ ৩০মিঃ।
বর্তমানে স্বর্ণমন্দির উপাশনালয়টি বান্দরবান জেলার একটি অন্যতম পর্যটন স্পট হিসাবে পরিগনিত হচ্ছে। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম এই "বৌদ্ধ ধাতু জাদী" কে স্বর্ণমন্দির নামাকরন করা হয়। এটি বৌদ্ধ ধর্মাম্বলীদের একটি উল্লেখযোগ্য উপাশনালয়। যাহা বান্দরবান শহর থেকে ৪ কি:মি: উত্তরে বালাঘাট নামক এলাকায় পাহাড়ের চূঁড়ায় অবস্থিত। এটির নির্মাণশৈলী মায়ানমার, চীন ও থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ টেম্পল গুলোর আদলে তৈরী করা হয়। বান্দরবান ভ্রমণে আপনিও এই জাদী বা স্বর্ণমন্দিরটি একবার স্বচক্ষে দেখে আসতে পারেন।
নাম মেঘলা হলেও মেঘের সাথে মেঘলা পর্যটন স্পটের কোন সর্ম্পক নেই। বান্দরবান জেলা শহরে প্রবেশের ৭ কি:মি: আগে মেঘলা পর্যটন এলাকাটি অবস্থিত। এটি সুন্দর কিছু উঁচু নিচু পাহাড় বেষ্টিত একটি লেককে ঘিরে গড়ে উঠে। ঘন সবুজ গাছ আর লেকের স্বচ্ছ পানি পর্যটককে প্রকৃতির কাছাকাছি টেনে নেয় প্রতিনিয়ত। পানিতে যেমন রয়েছে হাঁসের প্যাডেল বোট, তেমনি ডাঙ্গায় রয়েছে মিনি চিড়িয়াখানা। আর আকাশে ঝুলে আছে রোপওয়ে কার। এখানে সবুজ প্রকৃতি, লেকের স্বচ্ছ পানি আর পাহাড়ের চুঁড়ায় চড়ে দেখতে পাবেন ঢেউ খেলানো পাহাড়ী বান্দরবানের নয়নাভিরাম দৃশ্য। মেঘলা পর্যটন স্পটের পাশেই রয়েছে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের বান্দরবান পর্যটন হোটেলটি।
শৈল প্রপাত :
শৈল প্রপাত বান্দরবান শহর হতে ৭ কি:মি: দক্ষিণ পূর্বে চিম্বুক বা নীলগিরি যাওয়ার পথে দেখা যাবে।
নীলাচল বান্দরবান শহর হতে ১০ কি:মি: দক্ষিণে ১৭০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত একটি পর্বত শীর্ষ। যেখান থেকে নীলআকাশ যেন তার নীল আচল বিছিয়ে দিয়েছে ভূমির সবুজ জমিনে। যে দিকে দুচোখ যায় অবারিত সবুজ ও নীল আকাশের হাতছানি। মুগ্ধতায় ভরে উঠে মন প্রাণ।
তিন্দু :
এই অসাধারণ জায়গার নাম তিন্দু, (বড়পাথর/রাজাপাথর) যেখানে বিরাজ করে সে এক অনুপর নৈসর্গিক সৌন্দর্য !
বান্দরবানের থানচি থেকে নৌকা করে যেতে হয় এখানে, নাফাকুম যাওয়ার পথে পড়ে এই জায়গা ।অন্তত একবার হলেও আপনি এই রুটে ঘুরে আসুন, দেখুন প্রকৃতি কত সুন্দর করে নিজেকে সাজিয়ে রেখেছে, শুধু আমাদের জন্যেই ! নৌকায় চড়ে যেতে যেতে এরকম আরও অনেক দারুণ দৃশ্য আপনাকে মুগ্ধ করবে, সময় করে একবার গিয়ে দেখেন না !
মিলনছড়ি :
মিলনছড়ি বান্দরবান শহর হতে ৩ কি:মি: দক্ষিণ পূর্বে শৈল প্রপাত বা চিম্বুক যাওয়ার পথে পড়ে। এখানে একটি পুলিশ পাড়ি আছে। পাহাড়ের অতি উচ্চতায় রাস্তার ধারে দাড়িয়ে পূর্ব প্রান্তে অবারিত সবুজের খেলা এবং সবুজ প্রকৃতির বুক ছিড়ে সর্পিল গতিতে বয়ে সাঙ্গু নামক মোহনীয় নদীটি।
চিম্বুক বান্দরবানের অনেক পুরনো পর্যটন স্পট। বান্দরবান শহর হতে ২১ কি:মি: দক্ষিণ পূর্বে মিলনছড়ি এবং শৈল প্রপাত ফেলে চিম্বুক যেতে হয়। এখানে পাহাড়ের চুঁড়ায় রেষ্টুরেন্ট এবং একটি ওয়াচ টাওয়ার আছে।পাহাড়ের চুঁড়া থেকে চারদিকের সবুজ প্রকৃতির সৌন্দয্য অবগাহন এখানে প্রকৃতি প্রেমীদের টেনে আনে।
পূর্বের অতিউচ্চ পর্বত শীর্ষ থেকে সাঙ্গু নদী নেমে এসে বান্দরবন শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশে গেছে। বান্দরবান শহরের পূর্বে পাশে পাহাড়ী ঢালে বয়ে চলা সাঙ্গু নীদ দেখতে দারুন দৃষ্টি নন্দন।
পর্যটকদের জন্য জরুরী এবং প্রয়োজনীয় কিছু ফোন নাম্বার:
ওসি, বান্দরবান সদর থানা ০১৭৩০-৩৩৬১৬৬, ০৩৬১-৬২২৩৩, ওসি, রুমা থানা ০১৮২০-৪২৫৬৪৩, ওসি, থানছি থানা ০১৫৫৭-২৫৬৯৫৮, ওসি, লামা থানা ০১৮২০-৪২৫৬৪৪, বান্দরবান সদর হাসপাতাল ০৩৬১-৬২৫৪৪, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ০৩৬১-৬২২২২, বান্দরবান প্রেসক্লাব -০৩৬১-৬২৫৪৯।
বিঃদ্রঃ কোথাও ঘুরতে গেলে খেয়াল রাখবেন আপনার দ্বারা বা আপনার সাথে যারা যাবে তাদের দ্বারা উক্ত স্থানের কোন ধরণের যেন ক্ষতি না হয়, যে কোন ধরণের উচ্ছিষ্ট (প্যাকেট/বোতল) যেখানে যেখানে না ফেলবেন না ।
###ভাবুন তো আপনি সাঁতার কাটছেন এমন এক সুইমিংপুলে যেটি কিনা সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে প্রায় ১৮০০ ফুট উপরে###
ভাবুন তো আপনি সাঁতার কাটছেন এমন এক সুইমিংপুলে যেটি কিনা সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে প্রায় ১৮০০ ফুট উপরে, যেখানে দাঁড়িয়ে দিগন্ত জুড়ে ঢেউ খেলা পাহাড়ের ভাজ ও শুভ্র মেঘের সমুদ্র দেখতে পাচ্ছেন। হ্যাঁ, এমনি এক লাক্সারি রিসোর্ট- ‘সাইরু হিল রিসোর্ট’ যেটি চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত পার্বত্য অঞ্চল বান্দরবান জেলায় অবস্থিত।
শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে নীলগিরি রোডে ওয়াই জংশন আর্মি ক্যাম্পের পাশেই এর অবস্থান হওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে একদমই ভাবার অবকাশ নেই। যে কোনো ছুটির দিন বন্ধু, আত্মীয়, পরিবার কিংবা প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন বর্তমানে দেশের সবচেয়ে সুন্দর ভিউসমৃদ্ধ এই রিসোর্ট থেকে।
আশেপাশের পাহাড়গুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ পাহাড়টিতে গড়ে উঠা এই রিসোর্টে যে কোনো ঋতুতে গেলেই ভালো লাগবে। শীতকালে গেলে মনে হবে কুয়াশার চাদরে মুড়িয়ে রেখেছে কেউ আপনাকে। তবে ভ্রমণ করে এসেছেন এমন অতিথিদের মতে বর্ষাকাল হচ্ছে সাইরু রিসোর্ট ভ্রমণের সবচেয়ে ভালো সময়। ঠিক তাই, সকালে ঘুম ভেঙে বিছানায় বসেই দেখবেন টেরেসের দরজায় কেউ উঁকি দিচ্ছে। না! না! ভয় পাবার কোনো কারণ নেই, উঁকি দিচ্ছে একগুচ্ছ শুভ্র মেঘের বাহার যারা আপনাকে সাত সকালে শীতল করে দিতে হুড়মুড়িয়ে গড়িয়ে পড়তে চাইছে। দরজা মেললেই তাদের সঙ্গে হবে আপনার আলিঙ্গন। তারপর দেখবেন পুরো রুম জুড়েই মেঘদলের সঙ্গে আপনার বসবাস। একবার চোখ বন্ধ করে ভাবুন তো এমন দৃশ্যপট, এখুনি ছুটে যেতে মন চাইছে তো! আর দেরি না করে তৈরি করে ফেলুন ভ্রমণ পরিকল্পনা।
রিসোর্টের আভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা।
কীভাবে ভ্রমণ পরিকল্পনা সাজালে সুন্দরমতো ঘুতে আসতে পারবেন তা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করা হল।
কীভাবে যাবেন এবং যাওয়া-আসার খরচ
১। ঢাকা থেকে সবচেয়ে সহজে বাসে যেতে পারেন সরাসরি বান্দরবান সেক্ষেত্রে
ঢাকা থেকে বান্দরবান আসা-যাওয়ার বাস টিকেট-
* নন এসি বাস (শ্যামলি/হানিফ/সৌদিয়া পরিবহন) (হিনো ২/২ সিট)- ৬২০ টাকা (ওয়ান ওয়ে)
* নন এসি বিজনেস ক্লাস বাস (সেন্ট মার্টিন পরিবহন)
(হিনো ১/২ সিট)- ৬৫০ টাকা (ওয়ান ওয়ে)
* এসি ইকোনমি ক্লাস বাস (শ্যামলী/সেন্ট মার্টিন পরিবহন) (হিনো ২/২ সিট)- ৯৫০ টাকা (ওয়ান ওয়ে)
* এসি বিজনেস ক্লাস বাস (শ্যামলী/সেন্ট মার্টিন/দেশ/হানিফ পরিবহন) (হুন্দাই/ভলভো ১/২ সিট)- ১৪০০/১৫০০ টাকা (ওয়ান ওয়ে)
২। ঢাকা থেকে ট্রেনে চট্টগ্রাম যেতে পারেন তারপর সেখান থেকে সিএনজি তে বহদ্দারহাট এসে বান্দরবানগামী পূর্বাণী/পূরবী নন এসি বাসে সরাসরি বান্দরবান আসতে পারেন।
* আন্তঃনগর ট্রেনে ক্লাস ভেদে সর্বনিম্ন ৩৪৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১১৭৯ টাকা ভাড়া রয়েছে।
* সিএনজি জনপ্রতি ২০/৩০ টাকা
* পূর্বাণী/পূরবী বাস জনপ্রতি ১২০ টাকা
৩। ঢাকা থেকে বাই এয়ার চট্টগ্রাম যেতে পারেন তারপর সেখান থেকে রিজার্ভ এসি প্রাইভেট/মাইক্রোতে সরাসরি সাইরু রিসোর্ট যেতে পারেন।
* প্রাইভেট/নোয়াহ/হাইয়েস রিজার্ভ ৫৫০০/৬০০০ টাকা
১ ও ২ নং পদ্ধতি ব্যবহার করে যারা আসবেন তারা বান্দরবান শহর থেকে যেভাবে যাবেন সাইরুতে:
* ২-৪ জন হলে সিএনজি নিতে পারেন- ভাড়া ৮০০-১০০০ টাকা (ওয়ান ওয়ে)
* ৫-৭ জন হলে ল্যান্ড ক্রুইজার নিতে পারেন- ভাড়া ১৫০০-২০০০ টাকা (ওয়ান ওয়ে)
* ৮-১৩ জন হলে মাহেন্দ্র খোলা জীপ নিতে পারেন- ভাড়া ২০০০-২৫০০ টাকা (ওয়ান ওয়ে)
চাইলে নিজস্ব গাড়ি নিয়ে ভ্রমণ করতে পারেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই তেলের গাড়ি হতে হবে এবং পাহাড়ী রাস্তায় চালানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে নতুবা না আসাই উত্তম।
সুইমিং পুলে সাঁতার কাটতে কাটতে উপভোগ করতে পারবেন প্রকৃতি।
সাইরু রিসোর্ট এর সাংগু ভিউ এবং সাংগু ভিউ উইথ টেরেস রুম থেকে সাংগু নদী পর্যবেক্ষণ করা যায়। টেরেসে বসে সকলে মিলে আড্ডায় মেতে কাটানো যায় অনেকটা সময়। এক্সিকিউটিভ ও প্রিমিয়াম রুমগুলো থেকে পাহাড়ের ভাজগুলো সুন্দর দেখতে লাগে, একের পিঠে এক যেন সারিবদ্ধভাবে সৃষ্টিকর্তা নিজ হাতে সাজিয়েছেন। এ ছাড়া গ্রুপ কটেজ গুলোয় গ্রুপ একসঙ্গে থাকার মজা পাওয়া যায়। সাইরু এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা হচ্ছে এর রেস্টুরেন্টের ওপেন টেরেস। নিমিষেই বেলা কাটিয়ে দেওয়া যায়। এ ছাড়াও ভালো লাগে সুইমিংপুল এরিয়ার ক্যাফে করিডোরে সময় কাটাতে। সাঝবেলাতে পুরো রিসোর্টটা একবার ঘুরতে ভুলবেন না যেন। অদ্ভুত কিছু পাখির ডাক, ঝিঁঝিঁ পোকার আওয়াজ মুগ্ধ করবে আপনাকে। দিনের বেলা অবশ্য আপনাকে মুগ্ধ করতে রয়েছে বাকবাকুম ডাক দেওয়া অজস্র পায়রা। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় বসে থাকতে দেখবেন রঙিন প্রজাপতি আর এদের সাইজ দেখে এতটাই অবাক হবেন বলার মতো নয়। আরেকটু খোঁজাখুঁজি করলে কিন্তু ইয়া বড় মৌমাছির চাকও দেখতে পাবেন।
এখানে বসে সকলে মিলে আড্ডায় মেতে কাটানো যায় অনেকটা সময়।
এই কোম্পানির নিজস্ব আর্কিটেকচার ফার্ম থাকায় স্থাপত্য শৈলীর এক অনন্য উদাহরণ ধরা যায় এটিকে। এদের রেস্টুরেন্ট, অভ্যর্থনা স্থান এবং প্রত্যেকটি রুমের ডেকোরেশন এক কথায় মন ভুলানো। বিশেষ করে এক্সিকিউটিভ ও প্রিমিয়াম রুমের ইউনিক ডিজাইন এর বাথটাবসহ সুবিশাল বাথরুম সত্যিই রোমান্টিক করে তুলবে আপনাকে। আর টেরেস এর কথা নাইবা বললাম, এতোটা খোলামেলা আর সুন্দর পরিপাটি যে এখানে বসে এক কাপ চা চমৎকার এক মুহূর্ত তৈরি করবে নিশ্চিত। ভোরবেলা সূর্যোদয় আর সাঝবেলায় সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য আপনার চিরকাল স্মরণ থাকবে বৈকি।
এদের স্টাফদের আন্তরিকতা আপনার সবচেয়ে ভালো লাগবে। অমায়িক ব্যবহার আর দ্রুত সেবা দেওয়ার প্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসনীয়। মালামাল তোলা এবং বয়স্কদের রুমে পৌঁছানোর জন্য রয়েছে গো-কার্টের ব্যবস্থা। এদের মোট ২৯ টি রুমের জন্য পর্যাপ্ত লোক রয়েছে সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি নিয়ে। রয়েছে নিজস্ব পার্কিং এবং ড্রাইভারদের থাকার ব্যবস্থা।
সাইরুতে পাবেন বৈচিত্র্যময় খাবারের সমাহার।
কী খাবেন/কেমন খরচ
সাইরুর রয়েছে সুবিশাল রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড ওপেন টেরেস। যেখানে আপনি প্রায় ৭ ধরনের স্ন্যাক্স/ব্রাঞ্চ, ৫ ধরনের স্যুপ, ২০ ধরনের দেশি খাবার, ৫ ধরনের খিচুড়ি/বিরিয়ানি, ১২ ধরনের চাইনিজ আইটেম, ১০ ধরনের বার-বি-কিউ আইটেম, ১৬ ধরনের বেভারেজ আইটেম, ৫ ধরনের ডেজার্ট আইটেম ও কয়েক ধরনের সিজনাল জুস রয়েছে। এছাড়াও ১১ ধরনের ট্র্যাডিশনাল আইটেম রয়েছে তাদের সমৃদ্ধ মেন্যুতে। খরচটা তুলনামূলক বেশি মনে হলেও খাবারের জায়গা আর স্বাদের কাছে হার মানবে। সম্পুর্ণ স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে তৈরি খাবারগুলো স্থানীয় বাজার থেকেই সংগ্রহ করা হয়। ৫০০-৭০০ টাকার মধ্যে একজনের ভালোমতো লাঞ্চ/ডিনার হয়ে যাবে।
আশেপাশের ঘুরাফিরার জায়গা এবং ঘুরার খরচ
রিসোর্টে তো থাকতে যাবেনই সঙ্গে যদি আশেপাশের ভ্রমণস্থানসমূহ বেড়িয়ে আসা যায় তো মন্দ কী। ঘুরে আসতে পারেন- নীলগিরি, চিম্বুক, শৈল প্রপাত, মেঘলা, স্বর্ণমন্দির, নীলাচল। এ ছাড়া সাংগু নদীতে নৌ ভ্রমণ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে অবশ্য ২/৩ টি ঝর্ণার দেখা মিলবে তার মধ্যে রয়েছে বান্দরনী এবং স্রোতস্বিনী ঝর্ণা।
* সিএনজি রিজার্ভ নিয়ে সবগুলো জায়গা ঘুরতে খরচ হবে ৩০০০-৩৫০০ টাকা
* ল্যান্ড ক্রুইজার/মাহেন্দ্র জীপ এ সবগুলো জায়গা ঘুরতে ৬৫০০-৭০০০ টাকা
* সাংগু নদী নৌকায় ২/৩ ঘণ্টা রিজার্ভ ঘুরতে ১২০০-১৫০০ টাকা
সাইরুর নামকরণ ও বিস্তারিত
খুব সুন্দর প্রেমময় ইতিহাসে গড়া ‘সাইরু হিল রিসোর্ট’- এর নামকরণের পেছনের একটি গল্প আছে। দীর্ঘদিন আগে, বান্দরবান জেলার দূরবর্তী অঞ্চলে এক পাহাড়ী বংশের রাজার কন্যা ছিল যার নাম ছিল সাইরু। সে এক যুবক যে কিনা অন্য পাহাড়ী উপজাতির, এমন রাজ্যের পুত্রের সঙ্গে প্রেমে মগ্ন ছিল। প্রেম তো কোনো সীমানা বা সীমাবদ্ধতা জানে না। অবশেষে প্রাচীনরা ব্যাপারটির বাতাস বয়ে বেড়ায় এবং এর ফলে এতটাই ক্ষুব্ধ হয়ে যায় যে তারা এটাকে শেষ করার জন্য চরম পদক্ষেপ নিয়ে নেয়। তখন যুবকটি দ্রুত তার পাহাড়ী কনেদের থেকে একটি মেয়েকে বিয়ে করে এবং সাইরু এই ঘটনায় দুঃখ পায় এবং নিঃসঙ্গ হয়ে যায়। দুঃখে একদিন সে নির্জন জঙ্গলের দিকে একা একা চলে যায়। বলা হয় যে সাইরু সেখান থেকে আর কোনোদিন ফিরেনি। দুইটি গাছ যা রিসোর্ট সাইটের শীর্ষস্থানীয় বরাবর একটি স্পট যা মুকুট পাহাড় নামে পরিচিত সেখানে় সাইরু আর ঐ যুবকের ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে অধিষ্ঠিত রয়েছে। এখন সেই স্পট সাইরু পয়েন্ট হিসাবে পরিচিত। রহস্যময় এবং অদ্ভুত প্রেমের এই গল্পের চরিত্রের নামে সাইরু-এর নামকরণ হয়। নিরিবিলি সময় কাটাতে চাইলে এর ছায়ায় বসে উপভোগ করতে পারেন প্রকৃতির সতেজতা।
সাইরু খুবই জনপ্রিয় হওয়ায় বুকিং এর ক্ষেত্রে এক মাস পুর্বে যোগাযোগ করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। সবচেয়ে ভালো হয় ছুটির দিন বাদে সপ্তাহের মাঝে ছুটি ম্যানেজ করে যেতে পারলে। এতে করে নিরিবিলি ভাবে পুরোটা সময় যেমন কাটানো যাবে তেমনি অতিরিক্ত কিছু ডিসকাউন্ট মিলে যাবে। বর্তমানে শুক্র-শনি তে ২০% ও রবি-বৃহঃ তে ৩৫% ছাড় দিচ্ছে অনিন্দ্যসুন্দর এই রিসোর্টটি তাদের রেগুলার রুমের ভাড়ার ওপর। এছাড়াও ‘হিলি হেভেন বান্দরবান’- এর মাধ্যমে বুকিং করলে অতিরিক্ত আরও ৫% ছাড় পাওয়া যাবে।
টেরেসের খোলামেলা আর সুন্দর পরিপাটি পরিবেশ।
পাঁচ ধরনের ক্যাটাগরির রুম রয়েছে এই রিসোর্টটিতে। সাংগু ভিউ, সাংগু ভিউ উইথ টেরেস, এক্সিকিউটিভ, প্রিমিয়াম এবং কটেজ রুম। যেখানে সর্বনিম্ন দুজন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০ জন একসঙ্গে এক রুমে অবস্থান করা যাবে। এক রাত থাকার জন্য যার ভাড়া নির্ধারিত হয়েছে সর্বনিম্ন ১০,০০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২৫,০০০ টাকার রুমও রয়েছে। প্রত্যেক রুমের সাথেই কমপ্লিমেন্টারি বুফে ব্রেকফাস্ট প্রযোজ্য। রয়েছে ফ্রী ওয়াই-ফাই। সুইমিংপুলটি শুধুমাত্র এক্সিকিউটিভ ও প্রিমিয়াম রুমের জন্য কম্পলিমেন্টারি, বাকি রুমগুলোর জন্য চার্জ প্রযোজ্য। এ ছাড়া আরও বিস্তারিত জানা যাবে ‘সাইরু হিল রিসোর্ট’- এর ওয়েবসাইটে।
বুকিং এর জন্য যোগাযোগ করতে পারেন
০১৫৩১৪১১১১১ - সাইরু হিল রিসোর্ট
০১৮৭৮৯০০৯০০ - হিলি হেভেন বান্দরবান
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
নাফাখুম
বাস - shamoli poribahan (Non-AC)
Departing time- 23:00
Per ticket - 620 tk
বান্দরবান-থানচি লোকাল বাস/ জীপ রিজার্ভ নিয়ে যেতে পারেন। গাইড সহ পুলিশ ও আর্মির অনুমতি নিয়ে রিজার্ভ বোটে (৫জন) করে রেমাক্রি, রেমাক্রি থেকে ২ঘন্টায় হেঁটে "নাফাখুম"।
প্রথম দিন
* বান্দরবন বাসস্ট্যান্ডে নামি সকাল 7:30 এর দিকে। সেখানে hotel Hill view তে নাস্তা করি। 350 tk র মত নাস্তার বিল হয়েছিল। চান্দেরগাড়ি ঠিক করাই ছিল। 8:30 এ যাত্রা শুর করলাম থাঞ্ছির উদ্দেশে। পথে চিম্বুক, নীলগিরিতে নেমে কিছুটা সময় ছিলাম। থাঞ্ছিতে সীমান্ত অবকাশে পৌছাই 3:30 এর দিকে। বিকাল আর রাতে ওইখানেই ছিলাম। পাহাড়ের উপর থাকে সূর্যাস্তটা ছিল অদ্ভুত সুন্দর। বুকিং করে যাবেন।
Contact no: 01550553997
Per night cost : 2000 tk+500 tk (2+1)
3500 tk (VIP)
Meal cost : Around 250 tk per person
Boat cost : 4000 tk (5-6 person)
Online এ বুকিং দিতে পারবেন। ওরাই আপনাকে নৌকা ভাড়া করে দিবে আর গাইড দিয়ে দিবে রেমাক্রি পর্যন্ত। রাতে থাঞ্ছি বাজারে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে ব্রিজে গেলাম তারা গোনার জন্য। অনেকটা সময় ছিলাম সেখানে।
দিতীয় দিন
* নাস্তা করে ঘাট থাকে নৌকায় উঠতে উঠতে তখন বাজে 7:40।এবারের গন্তব্য নাফাখুম। এই পথের ভ্রমণটা ছিল খুবই রোমাঞ্চকর। যাওয়ার পথে রাজা পাথর আর তিন্দু বাজার পরবে। রেমাক্রি পৌছাতে পৌছাতে আমাদের 9:30 এর মত বেজেছিল। ঐখানে লোকাল গাইড ঠিক করে আমরা আমাদের ট্র্যাকিং শুরু করলাম নাফাখুম এর উদে৸শ্যে। গাইড ভাড়া ৫০০ টাকা। 15-20 মিনিট হাটার পর কিছু আদিবাসীদের দোকান পড়বে। ডিম, কলা, পানি খেয়ে নিবেন ঐখান থাকে। ছবি তোলার জন্য খুব একটা সময় না নিলে 11:30 এর মধ্যে পৌঁছে যাবেন নাফাখুম। তারপর যা দেখবেন সেটি লিখে প্রকাশ করাটা কঠিন। ঝরনার দিকে যাবার পাথরগুলো স্বভাবতই অনেক পিচ্ছিল, কাজেই সতর্কতা অবলম্বন করা বাঞ্ছনীয়। 12:45 এর দিকে ফিরতি রাস্তা ধরলাম রিমাক্রির দিকে। 13:40 এর দিকে আমরা রিমাক্রি বাজারে পৌঁছে যাই। 14:00 এর দিকে নৌকায় উঠে থাঞ্ছি ঘাটে পৌছাই 3:30 এর দিকে। বাজারে খাওয়া দাওয়া করে, সোজা সীমান্ত অবকাশে সূর্যাস্ত । হাল্কা নাস্তা নিয়ে যেতে পারেন, কারণ রাতে আর নামতে ইচছা করবে না।
* চান্দেরগাড়ি ভাড়া- বান্দরবন-থাঞ্ছি-বান্দরবন। ৭৫০০-৮০০০ টাকা। ১০-১১ জন বসতে পারবেন । দিতীয় দিন আপনার গাড়ির কোন দরকার হবে না। আপনি সেইভাবে কথা বলে নিবেন আর যাওয়ার পথে নীলগিরিতে থামলে ২৫০ টাকা টোল এবং জন প্রতি ৫০ টাকা লাগবে।
Contact no: kasem- 01859390525
Babu- 01557661399
তৃতীয় দিন
* সকালে নাস্তা করে থাঞ্চি থাকে 8:50 এর দিকে চান্দেরগাড়িতে করে রওনা দিলাম বান্দরবনের উদ্দেশ্যে। মাঝখানে শৈলপ্রপাত এ থামেছিলাম কিছুক্ষণের জন্য। ঐখানে মাখানো আনারসটা বেশ মজার ছিল।11:30 এর দিকে আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌছাই। সেখান থাকে Golden temple। এক থাকে দের ঘণ্টার মধ্যে বান্দরবন শহরে ফিরে আসা সম্ভব। লোকাল অটোতে গেলে ২৫০ টাকার মত লাগবে আসা-যাওয়াতে। 13:00 টার দিকে পূর্বানীতে করে চট্টগ্রামের দিকে রওনা দিলাম। বাস ভাড়া- ১১০ টাকা। চট্টগ্রামে শাহ্ আমাতন ব্রিজের উপর থাকে কর্ণফুলী নদীতে সূর্যাস্তর খানিকটা দর্শন নিয়েছিলাম। চট্টগ্রামে খাওয়াদাওয়া করার জন্য Greedy Guts Restrurent এ গেলাম। সেখানে Seafood Paella খেয়ে ঢাকার বাসে উঠলাম। 18:30 র মধ্যে চট্টগ্রাম থাকে ঢাকার সব বাস ছেড়ে দেয়। আমরা 19:00 টায় ভাগ্যক্রমে ইউনিকের একটা বাসে পাই আর সেটা দিয়েই 1:30 র দিকে ঢাকা পৌছাই। বাস ভাড়া- ৪৮০ টাকা।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
লোভনীয় রেমাক্রী জলপ্রপাত ॥
বান্দরবানের থানছি উপজেলায় ভ্রমণ বিষয়ে যেকোন তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন ॥
মোঃ হারুন রশিদ => পর্যটক গাইড , থানছি ,বান্দরবান ॥ ফোন কল :- 01556705010
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
কিভাবে যাবেন?
(এখানে যেভাবে দেয়া আছে সেভাবে গেলে একই সাথে বান্দরবানের অন্যতম সুন্দর স্পট #বগালেক এবং #কেওক্রাডং ও ঘুরে আসতে পারবেন)
>>দিন_১ –বান্দরবনশহরে পৌঁছে নাশ্তা করে একটা জীপ নিতে হবে রুমা বাজার পর্যন্ত। টাকা ২০০০/২৫০০ লাগবে। পৌছতে ঘন্টা দেড় লাগবে। সেখানে পৌঁছে গাইড নিতেহবে। গাইডের কয়েকটি সমিতি আছে। যেকোনো একটা থেকে একজনগাইড নিতে হবে। কেওক্রাডং পর্যন্ত গেলে দৈনিক ৪০০ করে মোট ১২০০টাকা লাগবে। জাদিপাই গেলে প্যাকেজ ২০০০/২৫০০ টাকার মত। তাদের দেয়া ফর্ম পুরনকরে আর্মি ক্যাম্পে গিয়ে সেখানে নাম এন্ট্রি করতে হবে। তারপর দ্রুত গাইডের সাথেগিয়ে জীপ ভাড়া করতে হবে বগা লেক যাওয়ার জন্য। ভাড়া ২০০০ টাকা। তবে বর্ষাকালে গাড়ি বগা লেকপর্যন্ত যায় না।
বগা লেকে ওঠার শেষ রাস্তাটুকু পার হতে অনেক কষ্ট হবে। খাড়া পাহাড়ে উঠতে হবে। আসলে এই জায়গাটুকু পারহতেই সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় সবার। কারন, সারারাত জার্নি করে, হইচই করে সবাই খুব ক্লান্ত থাকে। একারনেই কিছু মানুষ বগা উঠেই সিদ্ধান্ত নেয় আর আগাবে না। এটা ভুল সিদ্ধান্ত। আমি অনেক বাঘা বাঘা ট্রেকারদেরজিজ্ঞাসা করে দেখছি। ট্রিপের প্রথম দিন বগায় উঠতে সবারই অনেক কষ্ট হয়। ২য় দিন থেকে আর এত কষ্টহবে না।
বগায় পৌঁছে সিয়াম দিদি/ লারাম বা অন্য কারও কটেজেউঠতে হবে। কটেজ আগে থেকে ঠিক করে রাখা ভালো। এরপর লেকে গোছল করে বাকি দিনরেস্ট। এখন যেহেতু রুমা যেতে নৌকা লাগে না সেহেতু বেলা ১১/১২ টার মধ্যে বগায় পৌঁছে অনেকেই আরও সামনে এগিয়ে যায়। তবে যারা প্রথমবার যাচ্ছে, তাদের বগায় ১ম রাত থাকা উচিৎ। স্থানটা অনেক সুন্দর। (এখানে সেনেটারি টয়লেটআছে)।
>> দিন_২ (একটুখানিএডভেঞ্চার ভ্রমন) – ভোরে উঠে খিচুরি+ ডিমভাজি খেয়ে ভোর ৫.৩০ টার মধ্যেই রওনা হতে হবে কেওক্রাডং এর উদ্দেশ্যে। পথে চিংড়ি ঝর্না দেখতেহবে। ঝর্নার উপর পর্যন্ত গিয়েনা দেখলে কিন্তু বিরাট মিস। আগে পরে আরও কিছু ঝর্না পড়বে। কোন ঝর্নাতেই ১০/১৫ মিনিটেরবেশি সময় দেয়া যাবে না। মোট ৩/৩.৫ ঘণ্টা পরে পাবে কেওক্রাডং। বাংলাদেশের “সর্বচ্চ” পাহাড়। চুড়ায় ওঠার আগেই লালার হোটেলে দুপুরের খাবারঅর্ডার ও রাতে থাকার বুকিং দিয়ে দিবেন।
তারপরে ১০ টার ভিতরে দুপুরের খাবার খেয়ে পাসিং পাড়া হয়ে জাদিপাইপাড়া হয়ে জাদিপাই ঝর্না। কেওক্রাডং থেকে জাদিপাই যেতে কোন পাহাড়ে ওঠানাই, শুধু নামা আর নামা। ঘণ্টা ২/২.৩০ লাগবে পৌছাতে। শেষ ২০০ ফিট সাবধানে নামতেহবে। ৫০ ফিট পাটের মোটা দড়ি/কাছিসাথে করে নিয়ে গেলে এখানটায় নামতে সুবিধা হবে। লোকে বলে জাদিপাইনাকি বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর ঝর্না। কথাটির সাথে আমিও দ্বিমত নই। দেখলে আপনিও বোধ করি দ্বিমত করবেন না
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
দেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার সাত পর্বতঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোয় রয়েছে ছোট-বড় অনেক পর্বত। কিন্তু এর সঠিক উচ্চতা নিয়ে রয়েছে নানা মত। সেজন্য এসব পর্বতের সঠিক উচ্চতা নির্ণয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছে ভ্রমণ সংগঠন 'ভ্রমণ বাংলাদেশ' ও অনলাইন ফোরাম 'অ্যাডভেঞ্চারবিডি'। তাদের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে দেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার সাতটি পর্বত।
দেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে ছোট-বড় বেশ কিছু পাহাড় বা পর্বতশৃঙ্গ। এসব পর্বতশৃঙ্গের সঠিক উচ্চতা নিয়ে নানা সময় নানা ধরনের তথ্য পাওয়া যায়। ফলে অনেকেই এ বিষয়ে ভুল ধারণাও রাখেন। সেজন্যই এসব পর্বতের প্রকৃত উচ্চতা নির্ণয় করার লক্ষ্যে এক দল অভিযাত্রী ট্রেকার বা পর্বতারোহী কয়েক বছর ধরে কাজ করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তারা এক বছর বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার পর্বতশৃঙ্গগুলোর বিষয়ে অনুসন্ধান চালান। তারা বিভিন্ন প্রযুক্তিগত যন্ত্রের সাহায্যে নির্ণয় করেন দেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার সাতটি পর্বত। আর অনুসন্ধান কার্যক্রমের আয়োজন করেন যৌথভাবে ভ্রমণ সংগঠন ভ্রমণ বাংলাদেশ ও অনলাইন ফোরাম অ্যাডভেঞ্চারবিডি।
এসব সংগঠনের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন স্থান ঘুরে বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোর প্রত্যন্ত অঞ্চলের পর্বতগুলোর খোঁজ করেছেন। গত বছর থেকে শুরু করে সম্প্রতি তারা দেশের সাতটি সর্বোচ্চ উচ্চতার পর্বতের তথ্য প্রকাশ করেছেন। তারা এসব পর্বতের উচ্চতা মাপার জন্য ব্যবহার করেছেন- জারমিন ইট্র্যাক্স-৩০, ইট্র্যাক্স সামিট, ইট্র্যাক্স-৭৬ সিএসএক্স নামের যন্ত্রগুলো। এ যন্ত্রগুলোয় রয়েছে পৃথক ব্যারোম্যাটিক অলটামিটার (বায়ুর চাপ নির্ভর উচ্চতা মাপক যন্ত্র); যা দিয়ে উচ্চতা মাপার ক্ষেত্রে নির্ভুল তথ্য পাওয়া যায়। আর এসব যন্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে কারিগরি সহযোগিতা করেছে জিপিএস বিশেষজ্ঞ শামসুল আলম। তিনি পর্বতের উচ্চতা মাপার এ অভিযাত্রী দলের জিপিএস ম্যাপ-ট্রেইল ও অন্যান্য কারিগরি বিষয়ে লক্ষ রাখেন।
তাদের অনুসন্ধানে পাওয়া দেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার সাতটি পর্বতের মধ্যে প্রথমটির অবস্থান বান্দরবানের রেমাক্রির ‘মাদক তং বা সাকাহাফং’ পর্বত। এর উচ্চতা ১ হাজার ৫০ মিটার বা ৩ হাজার ৪৪৫ ফুট।
দ্বিতীয়টির অবস্থান বান্দরবানের থানছির ‘জ-তলং’। এর উচ্চতা ১ হাজার ১৪ মিটার বা ৩ হাজার ৩২৮ ফুট।
তৃতীয়টির অবস্থান বান্দরবানের রেমাক্রির ‘দুমলং’ পর্বত। এর উচ্চতা ১ হাজার ১০ মিটার বা ৩ হাজার ৩১৫ ফুট।
চতুর্থ স্থানে আছে বান্দরবানের রুমার ‘কেওক্রাডং’ পর্বত। এর উচ্চতা ৯৮৫ মিটার বা ৩ হাজার ২৩০ ফুট।
পঞ্চম স্থানে আছে বান্দরবানের থানছির ‘কংদুক বা যোগিহাফং’ পার্বত। এর উচ্চতা ৯৮৩ ফুট বা ৩ হাজার ২২২ ফুট।
ষষ্ঠ স্থানে আছে বান্দরবানের বড়থলির ‘মাই-থাইজমা’ পর্বত। এর উচ্চতা ৯৬৯ মিটার বা ৩ হাজার ১৭৯ ফুট
এবং সপ্তম স্থানে আছে বান্দরবানের থিন্দলপাড়ার ‘লুকু তংবা থিন্দলতে’ পর্বত। এর উচ্চতা ৯৫৭ মিটার বা ৩ হাজার ১৩৯ ফুট।
ভ্রমণ বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান খান মনা বলেন, ভ্রমণ বাংলাদেশের সদস্যরা ১৯৯৮-৯৯ সাল থেকে দেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ, প্রত্যন্ত এলাকার নতুন নতুন ট্রেইল, ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর আবাস-আবাসন, জীবনধারা ও সংস্কৃতি নিয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সেজন্য প্রতি বছরই ভ্রমণ বাংলাদেশের বেশ কিছু অভিযাত্রা ও অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালিত হয় দেশের বিভিন্ন এলাকায়। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে দেশের সর্বোচ্চ চূড়া নিয়ে তথ্যবিভ্রাট দেখা যায় অনেক আগে থেকেই। তাই এ বিষয়ে একটি সমন্বিত অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করি, যা সময়ের অনিবার্য দাবি। সময়ের সে দাবি পূরণ করার লক্ষ্যেই এ পর্বতশৃঙ্গগুলো পরিমাপ ও জরিপের কাজটি গত এক বছর ধরে পরিচালনা করে আসছি।
অ্যাডভেঞ্চাচারবিডির রাতুল বলেন, ব্যক্তিগতভাবে প্রতিটি চূড়ায় উপস্থিত থেকে জিপিএস রিডিং ও এর ছবি সংগ্রহ করেছি আমি এবং চেষ্টা করেছি নির্ভুল তথ্য উপস্থাপন করতে।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
বান্দরবানের হোটেল এবং রিসোর্টের ঠিকানাসমূহ জেনে নিন
কোথায় থাকবেন ?
হোটেল হিল ভিউ:
বান্দরবানে প্রবেশ করতেই দেখতে পাবেন শহরের সবচেয়ে বড় আবাসিক হোটেল হিল ভিউ। শহরের কাছেই এ হোটেলের ভাড়া রুমপ্রতি ১০০০-৪০০০ টাকা। ফোন: ০৩৬১-৬৩০৪৫।
পর্যটন মোটেল:
পর্যটন স্পট মেঘলার পাশেই পর্যটন কর্পোরেশন কর্তৃক পরিচালিত পর্যটন মোটেল। যার ভাড়া রুম প্রতি ৮৫০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে। ফোন: ০৩৬১-৬২৭৪১ এবং ০৩৬১-৬২৭৪২।
হলি ডে ইন:
চারিদিকে পাহাড় আর প্রাকৃতিক লেকের কাছাকাছি থাকতে চাইলে যেতে পারেন মেঘলার কাছেই অবস্থিত হলি ডে ইন এ। যার ভাড়া রুম প্রতি ১৫০০-৩০০০ টাকা পর্যন্ত। ফোন: ০৩৬১-৬২৮৯৬
হোটেল ফোর স্টার :
এটি বান্দরবান বাজারে অবস্থিত। রুম ভাড়া সিঙ্গেল-৩০০ টাকা, ডাবল- ৬০০, এসি-১২০০ টাকা। বুকিং ফোন:-০৩৬১-৬৩৫৬৬,০১৮১৩২৭৮৭৩১, ০১৫৫৩৪২১০৮৯।
রেশনের একটি হোটেল আছে মেঘলাতে। যার ভাড়া রুম প্রতি ৭৫০ হইতে ২০০০টাকা পর্যন্ত। বুকিং ফোন:- 0361-62741এবং 0361-62742।
হোটেল থ্রী স্টার :
এটি বান্দরবান বাস স্টপের পাশে অবস্থিত। নীলগিরির গাড়ী এই হোটেলের সামনে থেকে ছাড়া হয়। এটি ৮/১০ জন থাকতে পারে ৪ বেডের এমন একটি ফ্ল্যাট। প্রতি নন এসি ফ্ল্যাট-২৫০০ টাকা, এসি-৩০০০ টাকা। বুকিং ফোন:-থ্রী স্টার এবং ফোর ষ্টার হোটেল মালিক একজন মানিক চৌধুরী-০১৫৫৩৪২১০৮৯।
হোটেল প্লাজা বান্দরবান:
এটি বাজারের কাছে অবস্থিত। রুম ভাড়া সিঙ্গেল-৪০০ টাকা, ডাবল- ৮৫০, এসি-১২০০ টাকা। বুকিং ফোন:- ০৩৬১-৬৩২৫২। (ভাড়ার তারতম্য হতে পারে)
ভেনাস রিসোর্ট:
বান্দরবানের মেঘলা এলাকায় অবস্থিত ভেনাস রিসোর্ট। যেখানে রয়েছে পাহাড়ের চূড়ায় ৫টি আধুনিক কটেজ। এছাড়াও রয়েছে ভেনাস চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, যেখানে দেশি-বিদেশি মজাদার সব রকমের খাবার পাওয়া যায়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে শৈল্পিক ছোঁয়া এবং একাধিক ছোটবড় ভাস্কর্যে সাজানো হয়েছে ভেনাস রিসোর্ট। ফোন- ০৩৬১-৬৩৪০০, ০১৫৫২৮০৮০৬০।
সাকুরা হিল রিসোর্ট:
চিম্বুক রোডের মিলনছড়ি এলাকার কাছাকাছি এ রিসোর্ট অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন। প্রাকৃতিক ও কোলাহলমুক্ত পরিবেশে থাকতে চাইলে এ রিসোর্ট এর কোন বিকল্প নেই। যার ভাড়া রুম প্রতি ১৫০০-৩০০০ টাকা পর্যন্ত।
হিলসাইড রিসোর্ট:
চিম্বুক যাওয়ার পথে মিলনছড়ি এলাকায় পাহাড়ের বুকে গড়ে ওঠা এ রিসোর্ট বান্দরবানের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন রিসোর্ট হিসেবে পরিচিত। যেখানে বসে পাহাড়, নদী আর মেঘের দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন সহজেই। যার ভাড়া রুম প্রতি ১৫০০-৪০০০ টাকার মধ্যেই। ফোন: ০১৫৫৬৫৩৯০২২, ০১৭৩০০৪৫০৮৩।
হোটেল প্লাজা:
এটি বান্দরবানের অন্যতম আধুনিক আবাসিক হোটেল। বান্দরবান শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত এ হোটেলে রাত্রিযাপন করতে পারবেন ১০০০-৪০০০ টাকার মধ্যে। ফোন: ০৩৬১-৬৩২৫২।
ঢাকা- বান্দরবনঃ
• S Alam Paribahan = 620 TK (Non AC)
• Hanif Enterprise = 620 TK (Non AC)
• Shyamoli Paribahan = 620 TK (Non AC)
• Unique Paribahan = 620 TK (Non AC)
• Shyamoli Paribahan = 950 TK (Economy Class)
• Saintmartin Paribahan = 950 TK (Economy Class)
• Saintmartin Paribahan = 1500 TK (Business Class)
টুরিস্ট পুলিশ :
ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক
Md.Imrul Hasan Warsi: যখনই আপনি ম্যালেরিয়া প্রবন এলাকায় যাবেন তার একদিন আগে থেকে Doxicyclin শুরু করবেন এবং যেদিন ফিরে আসবেন সেইদিন থেকে ২৮ দিন পর্যন্ত প্রতিদিন ১ টা করে খেতে হবে। এই ভ্রমন পরবর্তী ২৮ দিনের মধ্যে যদি আবার ও কোনো ম্যালেরিয়া প্রবন এলাকায় যান তখন আবার একই নিয়মেই ফিরে আসার পর থেকে ২৮ দিন পর্যন্ত ওষুধ চলবে। ধরুন আপনি জুলাই মাসের ১০ তারিখে ম্যালেরিয়া প্রবন এলাকায় যাবেন তাহলে ৯ ই জুলাই থেকে আপনি Doxicyclin শুরু করলেন ৪ দিন ভ্রমনে থাকা কালীন ওষুধ খেলেন এরপর ফিরে আসলেন তখন ২৮ দিনের ওষুধ চলতে থাকলো। এই ২৮ দিনের ওষুধ চলা কালীন সময়ের মধ্যেই অর্থাত ২৮ দিনের ১ দিনও বাকি থাকতে যদি আপনি আবার যান তাহলে ভ্রমন সময়ে ওষুধ চলতেই থাকবে এবং ফিরে আসার পরে ২৮ দিন পর্যন্ত চলবে। এখন আপনি নিজেই হিসাবটা করতে পারবেন। আপনার ক্ষেত্রে ৯ তারিখে শুরু করে ১৩ তারিখ পর্যন্ত ভ্রমনে থাকার সময়ের ৪ দিন এর পর ১২ দিন (২৫ তারিখ পর্যন্ত) মেইনটেইন ডোজ চলাকালীন সময়ে আবার ৩ দিনের (২৮ তারিখ পর্যন্ত ) ওষুধ চলল দ্বিতীয় বার ফিরে আসার পর মেইনটেইন ডোজ ২৮ দিন (২৬ সে আগস্ট পর্যন্ত ওষুধ একটানা ওষুধ চলবে)। ****হিসাবের সুবিধার্থে ৩০ দিনে মাস ধরা হয়েছেঅব্লোকুইন এর ক্ষেত্রেও হিসেবটা মোটামোটি একই শুধু একদিন আগের বদলে ১ সপ্তাহ আগে শুরু হবে এবং প্রতি দিনের বদলে সপ্তাহে ১ টা করে চলবে এবং চার সপ্তাহে ৪ টি ট্যাবলেট খেতে হবে ফিরে আসার পরে।
Md.Imrul Hasan Warsi: প্রসঙ্গ ক্রমে বলে রাখি যদিও Chloroquine (অব্লোকুইন) ম্যালেরিয়ার স্পেসিফিক ওষুধ তার পরেও এডভেঞ্চার টুরিস্ট দের ম্যালেরিয়ার জন্য আমি Doxicycline কেই এগিয়ে রাখি।এর বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে যেমন ১। অধিকাংস সময়েই আমরা হুট করে ২/১ দিনের নোটিশে টুর প্লান করে থাকি ফলে ১ সপ্তাহ আগের ক্লোরোকুইন খাওয়া পসিবল হয় না কিন্তু Doxicycline আগের রাত্রেই শুরু করে একই ফল পাওয়া যায়।২। Doxicycline পারা মহল্যার প্রায় সকল ওষুধের দোকানেই পাওয়া যায় যা Chloroquine এর ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।যদি আপনার কাছে ফুল ডোজ না থাকে কিংবা হারিয়ে যায় ৩। এডভেঞ্চার টুরে ম্যালেরিয়া ছাড়াও অন্য পোকা মাকড়ের কামর কিংবা ছোট খাটো কাটা ছেড়া থেকেও ইন্ফেকসনের ঝুকি থাকে যা Doxicycline কভারেজে খাকার কারণে হ্রাস হয়। Chloroquine এর ক্ষেত্রে এই বাড়তি সুবিধা নাই। ৪। সপ্তাহে ১ টা ওষুধ খেতে হয় বলে Chloroquine এর ডোজ ভুলে যাবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ৫। Chloroquine এর তুলনায় Doxicycline দামেও বেশ কম। ৬। Doxicycline দামে কম (একই সাথে লাভও কম) হবার কারণে ফার্মাসিতে বিক্রেতাদের কাছে কম জনপ্রিয়। ফলে যত্রতত্র ব্যবহার না হবার কারণে রেজিস্টান্স হবার সম্ভাবনা অনেক কম...........
থানচি রুমা সহ বান্দরবনের অনেক স্থানে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিছে...আপনারা যারা বান্দরবন যাবেন অবশ্যই অবশ্যই ম্যালেরিয়া প্রফাইলেক্সিস নিয়ে যাবেন...ম্যালেরিয়ার ৪ টা স্পিছিস এর মধ্যে খারাপ 'প্লাজমডিয়াম ফেলছিপেরাম' বান্দরবনের জন্য এন্ডেমিক এবং জটিলতা অনেক অনেক বেশী...
ম্যালেরিয়া প্রফাইলেক্সিস: Tab. Doxycap 100mg যেদিন ভ্রমন শুরু করবেন সেদিন থেকে প্রতিদিন রাতে ১ টি করে। ভ্রমন শেষ হওয়ার ৭ দিন পর পর্যন্ত চলবে।সবাই সুস্থ থাকুন...হ্যাপি ট্রাভেলিং।
Saifur Rahman ম্যালেরিয়া প্রফাইলেক্সিস এর জন্য আমরা কয়েকধরনের ড্রাগ নিই... যেমন (১) Mefloquine যা larium নামে পাওয়া যায়...প্রতি সপ্তাহে ১ টি খাইতে হয় কিন্তু ভ্রমনের ১ সপ্তাহ আগে থেকে শুরু করতে হয় এবং ভ্রমন শেষ হওয়ার ৪ সপ্তাহ পর পর্যন্ত খাইতে হয়...যা অনেকেই নিয়ম মানে না,Drug Interaction,Side effect তুলনামুলক ভাবে বেশি। আর (২)Malarone (Atovaquone 250/ Proguanil 100 অনেক দামি ড্রাগ আমাদের দেশে পাওয়া যায় না। আর (৩) Doxycycline বেশি ব্যাবহার করা হয়...এখনও পর্যন্ত রেসিসটেনট হয়নি...তবে আগামিতে হইতেও পারে...এইটাও নিয়ম মতে ভ্রমন শেষ হওয়ার ৪ সপ্তাহ পর পর্যন্ত খাইতে হয়...তবে আমার প্রফেসর এর মতে বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে কমপক্ষে ১ সপ্তাহ খাইলে চলে, সহজলভ্য,দামেও কম।