Thursday, June 15, 2017

রাতারগুল, বিছানাকান্দি, জাফলং, লালাখাল, সংগ্রামপুঞ্জি ২৭০০ টাকা / প্রকৃতির বিছানা বিছানাকান্দি, কিভাবে যাবেন?


এই পোস্টটি শুধুমাত্র যারা সিলেটে ট্যুরে যেতে আগ্রহী তাদের জন্য । একটু ডিটেইলস এ লিখার চেষ্টা করেছি । বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি । সময় নিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।

-
প্রথমেই বলবো সিলেট ট্যুরের উপযুক্ত সময় হচ্ছে বর্ষাকাল । তখন সিলেটের ট্যুরিস্ট স্পটগুলো তাদের প্রাণ খুঁজে পায় । অন্যান্য সময়ে যে যাওয়া যাবে না তা নয় । কিন্তু সেক্ষেত্রে সিলেটের প্রকৃত সৌন্দর্য আপনি মিস করবেন ।

এবারে স্পট এবং ঐ সকল স্পটের যোগাযোগ ব্যবস্থা, খাবার-দাবার, সম্ভাব্য খরচ আর বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে আলোচনায় যাচ্ছি।
-
1)রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট:

এ বনটি মূলত সিলেটের সুন্দরবন নামে পরিচিত । সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নে অবস্থিত বাংলাদেশের একমাত্র 'সোয়াম ফরেস্ট' (জলবন) খ্যাত রাতারগুল। এটিকে ১৯৭৩ সালে সংরক্ষিত ঘোষণা করে বন বিভাগ। চারদিকে নদী ও হাওরবেষ্টিত এ বনের বেশির ভাগই এলাকাজুড়ে রয়েছে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা হিজল-করচগাছ। 'নদীর মধ্যে বন' এটাই এ জায়গাটাকে ভালোভাবে ডিফাইন করে । আপনাকে নৌকা দিয়ে সম্পূর্ণ বনটি ঘুরে দেখতে হবে। জায়গাটা ভালো লাগবে সেটা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

তবে সেজন্য আপনাকে দুটি প্রবলেম চরমভাবে ফেইস করতে হবে । এক, জায়গাটা এমন জায়গাতে অবস্হিত যেখানে যেতে আপনাকে যথেষ্ঠ বেগ পেতে হবে । যোগাযোগ ব্যবস্থা ভয়ানক । দুই, নৌকা ভাড়া । নৌকা ভাড়া করার সময় আপনাকে ব্যাপকভাবে ঝগড়া করতে হবে । ভালো হয় মারামারি করতে পারলে । পাঁচশো টাকার ভাড়া আপনার কাছে পাঁচ হাজারও চাওয়া হতে পারে । আমরা ৫৫০ টাকা দিয়ে ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট রাতারগুল ঘুরেছি । সেখানে সিন্ডিকেটের নির্ধারন করা ৭৫০ টাকা লিখা ছিল । সেজন্য অবশ্য ঝামেলা করতে হইছিল । তবে আপনি যদি অনেক টাকার মালিক হয়ে থাকেন তবে আপনাকে এ সমস্যায় পড়তে হবে না ।
-
2) শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় :

যদিও এটা কোন ট্যুরিস্ট স্পট না তারপরও বলবো যদি সম্ভব হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারটা একবার ঘুরে আসবেন । শহীদ মিনারটা আমার কাছে ইউনিক মনে হয়েছে এবং অনেক ভালো লেগেছে ।
-
3) জাফলং :

সিলেটের ঘুরতে যাওয়া বলতে মূলত মানুষ 'জাফলং' আর 'মাধবকুন্ড'কে বুঝে থাকে । জাফলং আপনার অবশ্যই ভালো লাগবে । যোগাযোগ ব্যবস্থা রাতারগুলের মতো এতোটা খারাপ না । পাথরের ওপর স্বচ্ছ 'ঠান্ডা' পানির সৌন্দর্য উপভোগ করতে জাফলংয়ের বিকল্প নেই । তবে সেজন্য বর্ষাকালে যেতে পারলে ভালো হয় । ছবি তোলা নিয়ে কোনও টেনশনের কারণ নেই । কারণ সেখানে প্রফেশনাল ফটোগ্রাফাররা মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে একেকটি ছবি তুলে দিবে । গোসলের জন্য এক্সট্রা কাপড় নিয়ে যাওয়া আবশ্যক ।

এখানেও আপনাকে কিছু প্রবলেম ফেইস করা লাগতে পারে । যেমন, জাফলং এ আপনার পার্সোনাল ব্যাগ অথবা অন্যান্য জিনিসপত্র রাখার কোন নির্দিষ্ট জায়গা নেই । স্বচ্ছ ঠান্ডা পানি দেখে আপনি যখন পাগল হয়ে যাবেন তখন আপনার পছন্দের ব্যাগটি হারিয়ে যেতে পারে এমনটাই স্বাভাবিক । সেজন্য গ্রুপ ট্যুরে যেতে পারলে ভালো । যাদের পাহাড়ে ওঠা নামায় প্রবলেম আছে তারা বিশ্রাম নিয়ে ওঠানামা করার চেষ্টা করবেন । মেয়েদের ক্ষেত্রে গোসলের পর চেইন্জ্ঞ করার জন্য আলাদা জায়গা খুঁজে পাওয়াটাও সেখানকার একটা সমস্যা ।
-
4)খাসিয়াপল্লী :

জাফলংয়ের ঠান্ডা পানিতে গোসল শেষে আপনি সেখান থেকে যেতে পারেন খাসিয়াপল্লীতে । নৌকা, অটোরিকসা এবং হেঁটে আপনাকে সেখানে যেতে হবে । এর জন্য প্রবল ইচ্ছা থাকা জরুরি । এখানে আপনি জমিদার বাড়ি, খাসিয়াদের জীবনধারা এবং সমতল ভূমির চাবাগান উপভোগ করতে পারবেন ।
-
5) তামাবিল :

নাম শুনেই জায়গাটাকে খাল অথবা বিল ধারণা করে ভুল করবেন না । এটা বাংলাদেশ-ভারত সিমান্তের বর্ডার মাত্র । যারা খুব কাছে থেকে বর্ডার দেখতে চান তারা জাফলং থেকে ফেরার সময় দশ মিনিটের জন্য জায়গাটা দেখে যেতে পারেন ।
-
6) হরিপুর গ্যাস ফিল্ড :

গ্যাস সংক্রান্ত সামগ্রিক বিষয়ে ধারণার জন্য জাফলং আর তামাবিল দেখে ফেরার পথে জায়গাটা ঘুরে দেখতে পারেন । তবে সেক্ষেত্রে স্পেশাল পারমিশনের প্রয়োজন হবে ।
-
7) মাধবকুন্ড :

জায়গাটা সম্পর্কে জানতে যারা আমার এই পয়েন্টটা পড়তে মুখিয়ে রয়েছেন তাদের মন খারাপ হবার সম্ভাবনাই বেশি । কারণ মাধবকুন্ড এখন আর আগের মতো নাই । 2007 সালের সেই মাধবকুন্ড আর এখনকার মাধবকুন্ডের মধ্যে বিস্তর তফাত । আমি সাজেস্ট করবো একটু কষ্ট হলেও মাধবকুন্ডে না যেয়ে প্রয়োজনে বিছানাকান্দি যান । তবে যারা বিছানাকান্দি যাওয়ার প্যারা নিতে চাননা তাদের জন্য মাধবকুন্ডকে আরোও রোমাঞ্চকর করতে কয়েকটি বিষয় ফলো করার অনুরোধ করবো । এক, সেপ্টেম্বর অথবা অক্টোবর মাসে মাধবকুন্ডে যান । তাহলে হয়তো কিছুটা প্রাণবন্ত ঝরণার দেখা পাবেন । এখনকার কন্ডিশনে মাধবকুন্ডে গোসল করার কোনও পরিবেশ নাই । তবে, আপনি চাইলে একটু অবৈধ অপশনে পাহাড়ে উঠে ঝরণার কাছাকাছি যেতে পারেন । সেখানে গোসল করতে পারবেন । তবে সেক্ষেত্রে সমস্ত রিস্ক আপনার । একজন লোকাল গাইড নিয়ে যেতে ভুলবেন না ।

যাদের পাহাড়ে ওঠার শখ আছে তারা সিড়ি বেয়ে প্রায় 1000 ফিট ওপরে ওঠতে পারেন । সেজন্য আপনার প্রচুর মানসিক ও শারীরিক শক্তির প্রয়োজন । আমাদের ওঠতে প্রায় আধঘন্টার বেশি সময় লেগেছিল । এক্ষেত্রেও লোকাল গাইড আবশ্যক । তবে এটি বৈধ অপশন ।
-
8) সিলেট শহর :

সিলেট শহরটাতে অল্প সময়ে আপনি কিছু জায়গা ঘুরে দেখতে পারেন । যেমন : মনিপুর মার্কেট, সিলেট জেলা স্টেডিয়াম, শহীদ মিনার, ক্রীন ব্রিজ ইত্যাদি ।
-
9) বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট :

এটা সিলেটের শ্রীমঙ্গলে অবস্হিত । এখানে দেখার মতো তেমন কিছুই নেই । তবে যদি ঢুকার অনুমতি পান তাহলে ঘুরে যেতে পারেন । এখানে আপনি বিভিন্ন প্রজাতির চা-গাছ,চা উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং একটি বিরল প্রজাতির ফল গাছ দেখতে পারবেন ।
-
10) লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান :

চা গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে এ উদ্যানের দূরত্ব 5/7 কিলোমিটার । প্রকৃতির খুব কাছাকাছি যেতে উদ্যানটি ঘুরে আসতে পারেন । এখানে বিভিন্ন রকমের বিরল প্রজাতির গাছ,বানর,পাখি ইত্যাদি দেখতে পারবেন ।
-
11) Novem Eco Resort :

যদিও নামটি নতুন মনে হচ্ছে কিন্ত তারপরও এখানে যাওয়ার চেষ্টা করবেন । উপরের ভেন্যুগুলোর মধ্যে জাফলংয়ের পর এটাই সবচেয়ে শান্তির জায়গা । কিন্ত এটা বেশ কস্টলি । আমাদের ডিপার্টমেন্টের এক বড়োভাই এ রিসোর্টের উদ্যোক্তা শেয়ার হোল্ডার হবার জন্য আমরা মুটামুটিভাবে ফ্রিতেই ঢুকতে পেরেছিলাম । চমৎকার একটা প্লানিং নিয়ে রিসোর্টটা তৈরী করা । ফ্যামিলি ট্যুর অথবা বয়ফ্রেন্ড গালফ্রেন্ডদের জন্য এরচেয়ে উপযুক্ত জায়গা আর দ্বিতীয়টি নেই । এখানে আপনি সিলেটের সকল সৌন্দর্য একই সাথে দেখতে পাবেন । এখানে সুইমিংপুল,পাহাড়,পাহাড়ের উপর বিশেষভাবে তৈরী করা বাড়ি,একটি কাঠের ব্রিজ এবং উন্নতমানের খাবার ব্যবস্থা রয়েছে । উইকেন্ড কাটানোর জন্য এরচেয়ে ভালো জায়গা খুব কমই আছে । এখানকার প্রবলেম একটাই; সেটা হচ্ছে এটা বেশ কস্টলি ।
-
12) বিছানাকান্দি :

বিছানাকান্দিতে যাওয়া হয়ে ওঠেনি । যেহেতু আমাদের ডিপার্টমেন্টের ট্যুর ছিল তাই খরচের কথা ভেবেই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছিল । আর তাছাড়া একবারে সব ঘুরা হয়ে গেলে নেকস্ট টাইম আর যাওয়া হবে না এরকম একটা কারণও কাজ করছিল । ম্যামকে বিছানাকান্দিতে যাওয়ার কথা বলাতে ম্যাম বলেছিলেন,” নেকস্ট টাইম বউকে সাথে নিয়ে বিছানাকান্দিতে ঘুরতে আসবা” । ভেবে দেখলাম আইডিয়াটা খারাপ না ।
-
খাবার-দাবার :
আমার কাছে মনে হইছে সিলেটে এই একটা জিনিস নিয়ে আপনার টেনশনের কোনোও কারণ নাই । মাঝারি মানের রেস্টুরেন্টেও আপনি ভালো মানের খাবার পাবেন । সময় থাকলে ডিঙি রেস্টুরেন্টের শুটকি-ভর্তা ট্রাই করে আসবেন । ভালো লাগবে আশা করি ।
-
সবশেষে বলবো,পৃথিবীর যেকোন ট্যুরিস্ট প্লেস মানেই সেখানে খারাপ ক্যাটাগরির লোকের আনাগোনা বেশি থাকবে এটাই স্বাভাবিক । সেজন্য সিলেটের মানুষদের দোষ দেয়াটা সমীচীন হবে না । সাবধানে চলাফেরা করার অনুরোধ রইলো ।
-
হ্যাভ এ নাইস ট্যুর ।
-
বি:দ্র:
১) মাজার এলাকাতে সাবধান থাকুন ।
২) থাকার জন্য সিলেট শহরকেই বেছে নিন । মাএ ২০০ টাকাতেই ভালো হোটেল পেয়ে যাবেন ।
৩) ১০/১২ জন মিলে যেতে পারলে মাথাপিছু ৭০০ টাকা সেভ হবে । আমাদের জনপ্রতি মাএ ৪২০০ টাকাতেই হয়ে গিয়েছিলো ডিপার্টমেন্টের সেনশন ছাড়াই ।
৪) স্পটগুলোতে যেতে মাইক্রবাস ভাড়া করে নিন ।
৫) পাহাড়ে ওঠার সময় সঙ্গে আবশ্যই পানি রাখুন ।

##ট্যুর প্ল্যান – রাতারগুল, বিছানাকান্দি, জাফলং, লালাখাল, সংগ্রামপুঞ্জি ২৭০০ টাকা##

অনেকেই সিলেট ট্যুরপ্ল্যান চায়, কিভাবে গেছি, কত খরচ পরছে ইত্যাদি জানতে চায়। তাই আজকের এই সিলেট ট্যুর প্ল্যান। এখানে কভার করব জাফলং, চা বাগান, তামাবিল, রাতারগুল, বিছানাকান্দি, লালাখাল, সংগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণা ইত্যাদি

গ্রুপ সাইজঃ ৫ জন। খরচ কমানোর জন্য ৫ জন ধরে নিলাম। গ্রুপ সাইজ ৫ এর বেশি অথবা কম হলে খরচ বাড়বে। কারণ, একটা সিনজি তে ৫ জন সহজে বসতে পারে।

ধরে নিলাম, ভোর সকালে আপনি সিলেট পৌছে গেছেন। সিলেট কিভাবে পৌছাবেন আপনার ব্যাপার। ট্রেনে অথবা বাসে।

প্রথম দিন
আমাদের রাতারগুল বিছানাকান্দি ভ্রমণ ভিডিও এখানে পাবেন।

যাতায়াতঃ মাজার গেট থেকে রাতারগুল আর বিছানা কান্দির জন্য সিএনজি ভাড়া চাবে ১৫০০ থেকে ২০০০। ধরে নিলাম ২০০০ এ রাজি হয়েছেন। জনপ্রতি ৪০০ টাকা। এই সিএনজি মাজার গেট থেকে নিয়ে রাতারগুল ও বিছানাকিন্দি তে ঘুরের সময় সারাদিন অপেক্ষা করে আপনাদের আবার মাজার গেটে নামিয়ে দিবে।

রাতারগুল নৌকা ভাড়াঃ চাইবে ১৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা। ওখানে আমার পরিচিত নৌকা ড্রাইভার আছে, তাকে আগে থেকেই ফোন দিয়ে গেলে পরবে ৭০০ টাকা। জনপ্রতি পরে ১৪০ টাকা। আমাদের ট্যুরে গিয়ে তার সাথে পরিচয়। বিল্লাল 01790316735

বিছানাকিন্দি নৌকা ভাড়াঃ  সেখানেও এমন অদ্ভুত নৌকা ভাড়া চাবে। ইঞ্জিন নৌকা। দরদাম করতে হবে। ওখানে আমার পরিচিত কেউ নাই। ওখানে আমাদের ভাড়া পরছিল ৮০০। তবে বেদম বার্গেইন করার পরে। ধরে নিলাম ঠকে গিয়ে ১২০০ তে রাজি হয়েছেন। জনপ্রতি ২৪০ টাকা। 

রাত যাপনঃ হোটেল ভাড়াঃ ২ রুম ৬০০ + ৬০০ = ১২০০, ৫ জনে ভাগ হয়ে জনপ্রতি ২৪০ টাকা। মাজারের সামনে অনুপম হোটেল নামে হোটেল আছে, বেশ গুছানো। এখানকার ভাড়া ৪০০ থেকে ৬০০ এর মত। প্রতি রুমে ডাবল বেড। আরো অনেক ভাল ও খারাপ হোটেল আছে। ঢু মেরে দেখতে পারেন। শুক্রবার ভাড়া একটু বেশি রাখে।

মাজার ভ্রমণঃ যেহেতু মাজারের সামনে হোটেল নিলেন। তাই মাজারের রাতের সৌন্দর্য এবং দিনের সৌন্দর্য কোনটাই মিস হবে না। এর জন্য এক্সট্রা খরচ ও নাই।

দ্বিতীয় দিন
আমাদের আগুন পাহাড়, জাফলং, সংগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণা আর লালাখান ভ্রমণের ভিডিও এখানে পাবেন।

যাতায়াতঃ মাজার গেট থেকে সিএনজি তে জাফলং, চা বাগান, লালাখাল, আগুন পাহাড়,  তামাবিল বর্ডার ঘুরে আসার জন্য ভাড়া চাবে ২৫০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা। আকাশ থেকে পরার কিছু নাই। সাধরণত ভাড়া ১৫০০ থেকে ২০০০। ধরে নিলাম আপনি দরদামে খুব কাচা তাই ২৫০০ তেই রাজি হয়ে গেলেন।জনপ্রতি ৫০০ টাকা।

লালাখাল নৌকা ভাড়াঃ লালাখাল ঘাটে নৌকা ভাড়া খুব বেশি না। ১ ঘন্টা ঘুরার জন্য ৬০০ থেকে ১০০০ নিতে পারে, ইঞ্জিন নৌকায়। বৈঠা নৌকা নিলে আরো কম। জিরো পয়েন্ট ঘুরতে পারেন, অথবা লালাখালের ঐ পারে চা বাগান আছে, সেটাও দেখে আসতে পারেন, যদি সময় থাকে। ধরে নিলাম ১০০০ এই ভাড়া নিতে হয়েছে,  জনপ্রতি ২০০ টাকা।

খাবারঃ ২ দিনের ৬ বেলা খাওয়ার আনুমানিক খরচ জনপ্রতি ৭০০ টাকা ধরে নিলাম। পাশাপাশি ভাংতি খরচ/রিক্সা/চা/টা খরচ ধরলাম ৩০০ টাকা জনপ্রতি ১০০০ টাকা!! 

জনপ্রতি মোট খরচঃ ২৭২০ টাকা।

নোটঃ জাফলং এ কোন নৌকা ভাড়া করতে হয় না আসলে। ১০ টাকা করে পার হওয়া যায়। তবে অনেকেই এটা না জানার কারণে বিছানাকান্দির মত হাজার টাকা দিয়ে নৌকা রিজার্ভ করেন। এটা করবেন না। ১০ টাকা দিয়ে ওপার যাবেন, আবার ১০ টাকা দিয়ে এপার আসবেন। রাস্তায় আগুন পাহাড়,  চা বাগান, লালাখাল এর রাস্তা পরবে। সিএনজি মামা কে আগেই বলে দিবেন, ঐ স্পট গুলো ঘুরিয়ে এরপর যাতে জাফলং নিয়ে যায়। তাহলে সংগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণায় ভাল সময় পাবেন। জাফলং এ নামলেই বাচ্চা বাচ্চা গাইড পাবেন। ওরা ১০০ টাকা পেলেই খুশি। বেশ ভাল সার্ভিস দেয়। অনুগ্রহ করে ওদের সাথে বাজে আচরণ করবেন না। লালাখাল এর নীলাভ সবুজ পানি দেখে কেউ পকেটে মোবাইল নিয়েই ঝাপ দিবেন না। যেটা আমি করেছিলাম।

আমি চেষ্টা করেছি সব কিছুর খরচ মোটামুটি বেশি করে ধরতে, যাতে ট্যুরে যেয়ে বিপদ না হয়। তারপরেও ট্যুরে সাথে এক্সট্রা কিছু সেফটি টাকা সাথে রাখা ভাল। সিলেটে বেশ বৃষ্টি হয়। ছাতা রেইনকোন সাথে রাখা জরুরী।


★★★Online Earning Easy way  : https://onlineearningeasyways.blogspot.com/2021/05/pi-network.html?m=1

## প্রকৃতির বিছানা বিছানাকান্দি, কিভাবে যাবেন? কত খরচ পড়বে?

রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সর্বপ্রথম আপনাকে প্রকৃতির অপরূপ হাতে সাজানো সিলেট শহরে আসতে হবে। বিছানাকান্দি যেতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে নগরীর আম্বরখানা পয়েন্ট যেতে হবে। সেখানে বিমানবন্দর রোডের দিকে সিএনজি স্টেশন আছে। সিএনজি হাদারঘাট পর্যন্ত রিজার্ভ করে গেলে ভালো হয়। পাঁচজন মিলে ৪০০ টাকায় সাধারণত ভাড়া নেয়া হয়। তবে মানুষ কম থাকলে ৮০ টাকা জনপ্রতিও যাওয়া যায়। বিমানবন্দর পর্যন্ত রাস্তা অনেক সুন্দর। চার পাশে শুধু সবুজ চা বাগান। নীল আকাশ আর সবুজ কার্পেটের ওপর যেন তাঁবু টানিয়েছে। বিমানবন্দর থেকে সালুটিকর রাস্তা চরম খারাপ। পিচঢালা কালো রাজপথে একটু পরপরই ভাঙা গর্ত। মনে হয় একটু আগেই যেন এ পথে গডজিলা হেঁটে গেছে। ভারী বালুর ট্রাকগুলো রাস্তার এ দশা করেছে।
হাদার বাজার থেকে নৌকায় বিছানাকান্দি। নৌকা পথে দূরত্ব্ব কম কিন্তু ভাড়া বেশি। রিজার্ভ নৌকা ও মৌসুম ভেদে ৮০০-১২০০ টাকা। বিছাকান্দি ভ্রমণের উপযুক্ত সময় বর্ষাকাল। সঙ্গে ছাতা, রেইনকোট নিতে ভুলবেন না।
বিছানাকান্দিতে খুব ভাল হোটেল নেই। তাই সিলেটে থাকাই ভাল। সিলেট থেকে সকাল সকাল রওয়ানা দিলে দিনে দিনে ফেরত আসা যাবে। সিলেট শহরে টুরিস্টদের থাকার জন্য অনেক হোটেল রয়েছে। ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত রুম ভাড়া পাওয়া যায়। নিরাপত্তাও ভালো। দরগা গেটে কয়েকটি ভালো হোটেল আছে।
বিছানাকান্দি যাবার দিনটা যদি হয় শুক্র বা সোমবার, তাহলে ভাববেন কপাল খুলে গেছে আপনার। সকাল দশটা থেকে চারটার ভিতর যেতে পারবেন ভারতে, সীমান্তে হাট বসে তখন। খেতে পারবেন ভারতীয় কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফলমূল।
তবে সাবধান থাকবেন যাতে ফেনসিডিল দালালদের পাল্লায় না পড়েন। ছোট্ট শিশুরাও অফার করতে পারে। পা দিলে বিপদে পড়বেন কারণ, কিছুক্ষণ পরপর বিজিবি চেকআপ হয়। এছাড়া সাঁতার না জানলেও খুব সাবধান থাকবেন। সাঁতার যারা জানেন তারাও সাবধান, প্রচন্ড স্রোতে আপনি পাথরের আঘাত পেতে পারেন, পাথরে ধরতেও সাবধান থাকবেন, কারণ মাঝে মাঝে খুব পিচ্ছিল পাথর আছে।
আপনিও ঘুরে আসতে পারেন, তবে অনুরোধ খাবার দাবার নিয়ে, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলে প্রকৃতির এ অনন্যতা কিন্তু নষ্ট করবেন না।

## ঘুরে আসুন বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম 

সিলেট অঞ্চলটাকে যেন প্রকৃতি উদার হাতে ঢেলে দিয়েছে সব সৌন্দর্য, উজাড় করে দিয়েছে নিজেকে। ক্রমবর্ধমান মানুষের চাপেও সেই সৌন্দর্য প্রায় অক্ষতই আছে এখনও, আর সেই অপরূপ সৌন্দর্যের মাঝে অনন্য সৃষ্টির একটি পান-থু-মাই গ্রাম, যাকে বলা হয় বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম। প্রতিবছরই এর অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে পান-থু-মাই গ্রামে আগমন ঘটে দেশি-বিদেশি বহু পর্যটকদের আর পান-থু-মাই-এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান হলো এই ‘মায়াবতী ঝরনা’।

তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে, ঝরনাটা বাংলাদেশের সীমানার ভেতরে পড়েনি, আমরা শুধু ওটাকে দূর থেকেই দেখতে পারি, কাছে যেতে পারি না। পান-থু-মাই যাবার সেরা সময় যদিও বর্ষাকাল, তারপরেও সারা বছরই যাওয়া যায়। আর ঝরনা দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন মায়াবতী নামটি কতখানি সার্থক হয়েছে। মেঘালয় রাজ্যের সারি সারি পাহাড়, ঝরনা, ঝরনা থেকে বয়ে আসা পানির স্রোত ধারা, আর সেই স্রোতধারা থেকে সৃষ্টি হওয়া ‘পিয়াইন নদী’ আসলেই অসাধারণ। এ কারণেই হয়ত বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম বলা হয় পান-থু-মাইকে।

এই পিয়াইন নদীতে সাঁতার না কাটলে, নিদেন পক্ষে ডুব না দিলে আপনার যাওয়াটাই বৃথা মনে হতে পারে! ছবি তোলার জন্য অসাধারণ জায়গা হতে পারে এটা। নদী, পাহাড়, পাথর আর স্রোত, সব কিছু মিলিয়ে সৌন্দর্যের এক অসাধারণ সমন্বয় হয়েছে এখানে।

কোথায়: সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট থানার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নে অবস্থিত পান-থু-মাই গ্রামটি। কেউ যেন ভাববেন না যে এটা জাফলং এর কাছাকাছি। জাফলং থেকে এটার দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার, আর সিলেট শহর থেকে দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার।

কীভাবে যাবেন: ঢাকা থেকে সিলেট আসার জন্য গ্রিন-লাইন, শ্যামলী, হানিফ, টি আর, সোহাগ, এনা পরিবহনসহ আরও বাস পাবেন। সিলেটের আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সিএনজি বা ট্যাক্সি নিয়ে গোয়াইনঘাট এর মাতর-তুল এ যাবেন। জাফলং দিয়ে না গিয়ে সিলেটের এয়ারপোর্ট রোড দিয়ে সালুটিকর হয়ে গেলে দূরত্ব কম পড়বে।

আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে ভাড়া পড়তে পারে ৬০০ টাকা ৭০০ টাকা (রিজার্ভ), সেখান থেকে মাত্র ২ কি.মি পরেই এই পান-থু-মাই। সেটুকু রাস্তা হেঁটে গেলে বরং বেশি উপভোগ করতে পারবেন। এখানে বেশকিছু খাবারের রেস্তোরাঁ আছে। আপনি চাইলে সিলেট থেকে খাবার নিয়েও যেতে পারেন। ঘোরার সময় যদি প্রকৃতি সুরক্ষার দিকে নজর দেই আমরা তাহলে এই প্রকৃতি আরও অনেক অনেক দিন আমাদের পাশেই থেকে যাবে ঠিক এভাবেই।


## টাঙ্গুয়ার হাওর...সুনামগন্জ...

যেভাবে যাবেন:-
ঢাকা থেকে বাসে সুনামগঞ্জ!সুনামগন্জ থেকে সিএনজি করে তাহিরপুর ঘাট!তাহিরপুর ঘাট থেকে কাঁচা বাজার করে নৌকা ভাড়া করতে হবে!নৌকায় করে টাঙ্গুয়ার হাওর দেখে ওয়াচ টাওয়ার গিয়ে সেখান থেকে চলে যেতে হবে টেকেরঘাট ।টেকেরঘাট থেকে নিলাদ্রি লেক দেখে আসতে আসতে রাত হয়ে যাবে! রাতে ওয়াচ টাওয়ারের কাছে নৌকা থাকবে! নৌকায় ঘুমাতে হবে! পরের দিন জাদুকাট নদী আর বারিক্কা টিলা দেখে আবার তাহিরপুর ঘাট!সেখান থেকে সুনামগন্জ শহর!তারপর সুনামগন্জ থেকে ঢাকা...

মানুষের জীবনে নানা ধরনের সমস্যা।একটার পর একটা সমস্যার ফলে মানুষ দিশাহীন হয়ে পড়ে! একটা সময়ে নিজেকেই সে আর খুঁজে পায় না।যাদের জীবনে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে তারা আর দেরী না করে ব্যাগ গুছিয়ে বের হয়ে পড়েন টাঙ্গুয়ার হাওরের পথে। যখন টাঙ্গুয়ার থেকে ফিরবেন তখন দেখবেন আপনার সমস্যাগুলো আর খুজেঁ পাচ্ছেন না। অদ্ভুত সুন্দর একটা জায়গা।

আমরা দুইদিন একরাত ছিলাম টাঙ্গুয়ার হাওর!পুরোটা সময় আপনাকে নৌকায় থাকতে হবে।খাবার খাওয়া, রান্না, ঘুমানো, টয়লেট সব কিছুর ব্যবস্হা নৌকায় আছে! টাঙ্গুয়ার হাওরে থাকা দুইদিন একরাত ছিল অদ্ভুত ভাললাগায় ভরপুর।আমি লিখে আপনাদের টাঙ্গুয়ার হাওরের প্রকৃত সৌন্দর্য বোঝাতে পারবনা।

টাঙ্গুয়ার হাওর বাংলাদেশের বৃহত্তর সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এ হাওর বাংলাদেশর দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠা পানির জলাভূমি ।স্থানীয় লোকজনের কাছে হাওরটি নয়কুড়ি কান্দার ছয়কুড়ি বিল নামেও পরিচিত।


টাঙ্গুয়ার হাওর সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা ও তাহিরপুর উপজেলার মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। মেঘালয় পাহাড় থেকে ৩০টিরও বেশি ঝর্না এসে মিশেছে এই হাওরে।দুই উপজেলার ১৮টি মৌজায় ৫১টি হাওরের সমন্বয়ে ৯,৭২৭ হেক্টর এলাকা নিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওর জেলার সবচেয়ে বড় জলাভূমি। পানিবহুল মূল হাওর ২৮ বর্গকিলোমিটার এবং বাকি অংশ গ্রামগঞ্জ ও কৃষিজমি।


## ঘুরে আসুন সিলেট  ঘুরে আসুন সিলেট ৪ দিনে ।

সিলেটের জাফলং, রাতারগুল, বিছনাকান্দি, লালাখাল, পাংথুমাই,হজরত শাহজালাল(রা) ও শাহ্‌ পরান (রা) এর মাজার, মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওর, বাইক্কা বিল, শ্রীমঙ্গলের চা বাগান, চা-কারখানা,নীলকান্তের সাত কালারের চা, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, লাউয়াছড়া রেইন ফরেস্ট, হামহাম জলপ্রপাত, , সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর, টেকেরঘাট ও হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান পর্যটন কেন্দ্র উল্লেখ যোগ্য ।

প্রথমে যাত্রা শুরু করতে পারেন শ্রীমঙ্গলের উদ্দেশ্যে ।সড়ক পথ হিসেবে ঢাকা থেকে সরাসরি বাস অথবা ট্রেনে যেতে পারেন।বাসে যেতে চাইলে আপনাকে যেতে হবে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে। শ্যামলী পরিবহন (এসি, নন-এসি), সিটিলিংক, হানিফ পরিবহনের বাস রয়েছে ভারা পরবে প্রায় ৪০০ টাকা । এবং ট্রেনে রাত সাড়ে ১০টায় উপবনে যাত্রা সুরু করলে ভোরে শ্রীমঙ্গলে পৌঁছানো যায় । ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গলে চেয়ার কোচের ভাড়া ১৩৫ টাকা, ১ম শ্রেণীর চেয়ার ২০০ টাকা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচে ৩০০ টাকা এবং স্লিপিং কোচে ৩৬০টাকা। ঐখান থেকে বাজার কাছে ।
১ম দিন:রাতে ঢাকা থেকে রউনা হয়ে খুব ভোরে শ্রীমঙ্গলে পৌঁছানো এবং ১ রাতের জন্য হোটেল ভারা করা ( শ্রীমঙ্গল বাজারে ৫০০/- থেকে ২০০০/- এর মধ্যে মুটামুটি হোটেল পেয়েজাবেন ) ।হোটেল গুলোর মধ্যে হোটেল টি টাউন : ০১৭১৮-৩১৬২০২, হোটেল প্লাজা : ০১৭১১-৩৯০০৩৯ হোটেল ইউনাইটেড : ০১৭২৩-০৩৩৬৯৫ আপনি পূর্বেও যোগাযোগ করে নিতে পারেন । আর কোলাহল মুক্ত পরিবেশে থাকতে চাইলে উঠতে পারেন চা বাগানের ভিতর বিটিআরআই রেস্ট হাউজ (যোগাযোগ : ম্যানেজার অরুন বাবু : ০১৭১২০১৬০০১ বা জনাব রফিকুল হক :০১৭১২০৭১৫০২) অথবা টি রিসোর্ট-এ (যোগাযোগ : ০১৭১-২৯১৬০০১) থাকতে পারেন ।

**হামহাম ও লাউয়াছরা রেইনফরেস্ট
হামহাম জলপ্রপাত
শ্রীমঙ্গল বাজার থেকে সকাল সকাল সিএনজি/লোকাল যানবাহন নিয়ে ‘কলাবন পারা’ এসে গাইড নিতে হবে।(ভিডিও) http://www.youtube.com/watch?v=fh141alvc4cগাইড নিয়ে হাম-হাম ঘুরে আসবেন । কলাবন পারা থাকে হামহাম ঘুরে আস্তে ৪,৩০ ঘণ্টা লাগতে পারে।হামহাম ঘুরে আসবার সময় পথে শ্রীমঙ্গল টী-গার্ডেন এ নেমে সবি তুলতে পারেন এবং সময় সঙ্কুলান হলে লাউয়াছরা রেইনফরেস্ট ঘুরে আস্তে পারেন ।এর পর নীলকান্তের সাত কালারের চা দিয়ে সেদিনের মত সমাপ্তি ।এর পর ক্লান্ত থাকবেন সো রেস্ট নেয়া উত্তম ।( কষ্ট কম করতে চাইলে হামাহাম না গিয়ে সুধু সরাসরি লাউয়াছরা রেইনফরেস্ট এবং শ্রীমঙ্গল টী-গার্ডেন এ নেমে সারাদিন ঘুরতে পারেন )
লাউয়াছরা রেইনফরেস্ট
২য় দিন: সকাল সকাল মাধবকুণ্ড গিয়ে অনেকটা সময় পার করে তারপর সিলেটের উদ্দেশ্যে রউনা হবেন ।এরপর সিলেটে মালিনী-টি গার্ডেন । এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরানো টি গার্ডেন। এর পর সোজা মাজারে চলে আসবেন ২টা বড় মাজার আছে । সিলেটে হযরত সাহজালাল (রা) এর মাজারের পাশেই রয়েছে বাজার । মাজারের আশেপাশেই  ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে ডাবল বেডের রুম পেয়ে যাবেন ।শহরের নাইওরপুল এলাকায় হোটেল ফর-চুন গার্ডেন (০৮২১-৭১৫৫৯০)।ভিআইপি সড়কে হোটেল হিল-টাউন (০৮২১-৭১৮২৬৩)। আম্বরখানায় হোটেল পলাশ (০৮২১-৭১৮৩০৯)। দরগা এলাকায় হোটেল দরগা গেইট (০৮২১-৭১৭০৬৬)। হোটেল উর্মি (০৮২১-৭১৪৫৬৩)।জিন্দা-বাজারে হোটেল মুন লাইট (০৮২১-৭১৪৮৫০) ইত্যাদি।খাওয়ার জন্য সিলেটের জিন্দা-বাজারে বেশ ভালো তিনটি খাওয়ার হোটেল হচ্ছে পাঁচ ভাই,পানসী ও পালকি। এগুলোতে প্রায় ৩০ প্রকারের ভর্তা কবুতর, হাসের মাংস দিয়ে খাবার খেতে পারবেন।

**বিছনাকান্দি-লক্ষনছড়া-পান্থুমাই এবং রাতারগুল
লক্ষনছড়া
৩য় দিন: বিছনাকান্দি-লক্ষনছড়া-পান্থুমাই এবং রাতারগুল চারটি স্থান একসাথে দেখতে চাইলে একদম সকাল ৬টায় মধ্যে নাস্তা সেরে জার্নি স্টার্ট করতে হবে । সিলেট আম্বরখানা > সিএনজি নিয়ে হাদারপাড়া> ‘বিছনাকান্দি’। পানি বেশি থাকলে হাদারপাড় থেকে বড় নৌকা রিজার্ভ করে ‘বিছনাকান্দি-লক্ষনছড়া-পান্থুমাই’ ২০০০ টাকার মধ্যে ঘুরে আসতে পারবেন।এর পর আবার হাদারপাড়া থেকে ১২.৩০ এ রউনা হয়ে যাবেন গোয়াইনঘাটের উদ্দেশ্যে। সিএনজি রিজার্ভ করতে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা লাগবে ।দুপুরের খাবার এখানেই সেরে নিতে হবে। গোয়াইনঘাট থেকে রাতারগুল যাওয়ার জন্য নৌকা রয়েছে , ১২ জনের ট্রিপ সাইজের নৌকা ভারা পরবে ১৫০০টাকা থেকে ২০০০ টাকা । এর পর বিট অফিস। এইখান থেকে ছোট ডিঙ্গি ভারা নিয়ে আপনি রাতারকুল বনে প্রবেশ করতে পারবেন। ৫ জন যেতে পারে এমন নৌকাতে ভাড়া পোরতে পাড়ে ৫০০ টাকা ।রাতারকুল ভ্রমণ শেষে আপনি চলে আসবেন মটরঘাট এইখান থেকে সিএনঞ্জি নিয়ে সরাসরি সিলেট ।
রাতারগুল 
লালা খাল” এরপর জাফ্লং + সংগ্রামপুঞ্জি+ তামা-বিল+ জৈণ্তা জমিদার বাড়ী এবং চা বাগান।
৪র্থ দিন:এরপর দিন খুব সকালে রউনা হয়ে পর্যায়ক্রমে “লালা খাল” এরপর জাফ্লং + তামা-বিল ঘুরে আসতে পারেন । এইগুলা সব একই রাস্তায় পরে । সিলেট শহর থেকে জাফ্লং যেতে প্রথমে সারি-ঘাট পরবে সারি-ঘাট থেকে নৌকা নিয়ে লালা খাল যেতে হবে ।এইখানে ১২০০/- টাকার মধ্যে নৌকা পেয়ে যাবেন । এক নৌকায় ১২ জন সহজেই বসতে পারবেন । লালা-খালে ছোট একটি টি- এস্টেট আছে। আর একটা নাজিমগর রিসোর্টের রেস্তোরা (রিভার-কুইন ০১৭৩৩৩৩৮৮৬৬/০১৭৩৩৩৩৫৫৬০) আছে। দুপুরের খাবার এখানে খেতে পারেন।
এরপর লালাখাল ফিরে এসে জাফ্লং । এইখান থেকে নৌকা নিয়ে সংগ্রামপুঞ্জি ঘুরে এরপর
তামা-বিল,জইন্তা রাজবাড়ি এবং রিসোর্ট  , এরপর সোজা সিলেট ।
রাতর ১২টার ট্রেনে/বাসে ঢাকা ফিরে আসতে পারেন ।  

খরচ জনপ্রতি ৪০০০-৬০০০ টাকা লাগতে পারে যদি কমপক্ষে ৫জন একসাথে যাত্রা সুরু করেন ।

প্রয়জনীয় নাম্বারঃ 
হোটেল ফর-চুন গার্ডেন (০৮২১-৭১৫৫৯০)।
ভিআইপি সড়কে হোটেল হিল-টাউন (০৮২১-৭১৮২৬৩)।
আম্বরখানায় হোটেল পলাশ (০৮২১-৭১৮৩০৯)।
দরগা এলাকায় হোটেল দরগা গেইট (০৮২১-৭১৭০৬৬)।
হোটেল উর্মি (০৮২১-৭১৪৫৬৩)।
জিন্দা-বাজারে হোটেল মুন লাইট (০৮২১-৭১৪৮৫০) 
নাজিমগর রিসোর্টের রেস্তোরা (রিভার-কুইন ০১৭৩৩৩৩৮৮৬৬/০১৭৩৩৩৩৫৫৬০) 

সিলেট শহরে সি এন জিঃ সোহেল +8801750232433
{উনার সি এন জি তে মিউজিক সিস্টেম রয়েছে ,গানের কালেক্সন ও ভাল । বেশ কিছু যাত্রী রিকমেন্ট করায় তার নাম্বার ডকে এড করা হলো}



সিলেট ট্রেনের সময়সূচী এবং ভাড়ার তালিকা

♦♦পারাবত এক্সপ্রেস ♦♦:

( ঢাকা থেকে সিলেট ) (সময় - ছাড়বে- ভোর ৬:৩৫ পৌছাবে- দুপুর ১:৪৫,বন্ধের দিন - মঙ্গলবার )
( সিলেট থেকে ঢাকা ) (সময় - ছাড়বে- দুপুর ৩:০০ পৌছাবে- রাত ৯:৪৫,বন্ধের দিন - মঙ্গলবার )
" (ভাড়ার তালিকা (পারাবত এক্সপ্রেস) :শো: চেয়ার - ৩২০ টাকা , ১ম সিট- ৪২৫ টাকা  ) "
♦♦ কালনী এক্সপ্রেস ♦♦
( ঢাকা থেকে সিলেট ) (সময় - ছাড়বে- দুপুর ৪:০০, পৌছাবে- রাত ১০:৪৫,বন্ধের দিন - শুক্রবার )
( সিলেট থেকে ঢাকা ) (সময় - ছাড়বে- ভোর  ৭ :০০, পৌছাবে- দুপুর ১:২৫,বন্ধের দিন - শুক্রবার )
(ভাড়ার তালিকা (কালনী এক্সপ্রেস ) : শো: চেয়ার - ৩২০ টাকা , ১ম সিট- ৪২৫ টাকা ) "
♦♦জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস♦♦
( ঢাকা থেকে সিলেট ) (সময় - ছাড়বে- দুপুর ১২:০০, পৌছাবে- সন্ধ্যা ৭:৫০,বন্ধের দিন - নেই)
(সিলেট থেকে ঢাকা ) (সময় - ছাড়বে- সকাল ৮:২০, পৌছাবে- দুপুর ৪:০০,বন্ধের দিন - বৃহস্পতিবার)
(ভাড়ার তালিকা (জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ) :শো: চেয়ার - ৩২০ টাকা , ১ম সিট- ৪২৫ টাকা ) "
♦♦উপবন এক্সপ্রেস ♦♦
( ঢাকা থেকে সিলেট ) (সময় - ছাড়বে- রাত ৯:৫০, পৌছাবে- ভোর ৫:১০,বন্ধের দিন - বুধবার )
(সিলেট থেকে ঢাকা ) (সময় - ছাড়বে- রাত ১০:০০, পৌছাবে- ভোর ৫:১৫,বন্ধের দিন - নেই )
(ভাড়ার তালিকা ( উপবন এক্সপ্রেস) :শো: চেয়ার - ৩২০ টাকা ,১ম শ্রেণী -৪২৫ টাকা,  কেবিন - ৬৯০ টাকা )''